দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। শনাক্ত বা মৃত্যু না বাড়লেও পার্শ্ববতী দেশ ভারতের কারণে শঙ্কা বাড়ছে। এদিকের করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে যেন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট না ছড়ায় সেজন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তবে এরইমধ্যে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) একদল গবেষক। তবে ভারতীয় কোন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি। পরীক্ষা করা ১০টি নমুনার ৬টিতেই যুক্তরাজ্য ও তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন পাওয়া গেছে। আর একটিতে অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ডের ধরন পাওয়া গেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু)। প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতমবুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় সিভাসুর অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদিপ দাশ, ডা. প্রাণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন বিষয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স বা জীবন রহস্য উন্মোচন করতে গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ঢাকায় ১০টি নমুনা পাঠানো হয়। এরপর বিসিএসআইআর-এর দুজন গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় অংশ নেন।করার জন্য ১০টি নমুনা পাঠানো হয় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ঢাকায়। এরপর বিসিএসআইআর-এর দুইজন গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় যোগ দেন। তবে গবেষণাটি মূলত চট্টগ্রামকেন্দ্রিক করা হয়েছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ১০টি নমুনার ৬টিতেই যুক্তরাজ্য ধরন (B.1.1.7) ও তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের (B.1.351) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর একটিতে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ধরন (B.1.1.142) পাওয়া গেছে। তবে কোনোনমুনাতেই ভারতীয় ধরন (B.1.617) এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রোগী থেকে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচজন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।